ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুকের ৫ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তর

২০২৩ জানুয়ারি ০৬ ০৭:৩৮:৪২
বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুকের ৫ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেগা কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার ৫ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তর করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, মোট ৩২৫ জন সুকুকধারী প্রথম বছরে তাদের কাছে থাকা সুকুকের ২০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তরের জন্য ট্রাস্টির কাছে আবেদন করেছিলেন। তাদের কাছে থাকা সুকুকের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫। এর মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার ৯৩৬টি সুকুকের বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা বেক্সিমকো লিমিটেডের ১ কোটি ৯৬ লাখ ২২ হাজার ৬৩৫টি শেয়ার বুঝে পেয়েছেন।

রূপান্তরকৃত শএক্ষেত্রে রূপান্তর মূল্য ছিল ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। রূপান্তর প্রক্রিয়া শেষে বর্তমানে বাজারে ২৮ কোটি ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪টি সুকুক অবশিষ্ট রয়েছে।

কোম্পানিটি জানায়, বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা সুকুকের শতভাগ বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। গুণিতক হারে অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে।

২০২২ সালের জন্য সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। কোনো বছর সুকুককে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ গ্রহণ না করলে সেটি পরবর্তী বছরেও করা যাবে। এ রূপান্তরের মূল্য নির্ধারিত হবে রেকর্ড ডেটের আগের ২০ কার্যদিবসে ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ারের ভারিত গড় মূল্যের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম। যদি কোনো বিনিয়োগকারী সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে না চান তাহলে পাঁচ বছরে ওই সুকুকের অবসায়ন হবে।

প্রথম বছরের দ্বিতীয় অর্ধবার্ষিকের জন্য ৫.৮০ শতাংশ হারে রিটার্ন ঘোষণা করেছে বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনা। এর আগে প্রথম অর্ধবার্ষিকের জন্যও সুকুকধারীদের ৫.৮০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে করপোরেট বন্ডটির ট্রাস্টি। সুকুকটির অভিহিত মূল্য ১০০ টাকার ওপর রিটার্ন নির্ধারণ করা হয়। টাকার অংকে প্রথম অর্ধবার্ষিকে মোট বিতরণকৃত রিটার্নের পরিমাণ ছিল ১৭৪ কোটি টাকা।

৫ বছর মেয়াদি এ সুকুকটির রিটার্ন ছয় মাস অন্তর প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রিটার্ন নির্ধারণ করা হবে ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মুনাফা মার্জিন যোগ করে। বেক্সিমকো লিমিটেডের আগের বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত ডিভিডেন্ড ও ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। যদি ডিভিডেন্ডের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন প্রদান করা হবে। আর লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।

নিয়ম অনুসারে, বেক্সিমকো লিমিটেড ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে ৩৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এক্ষেত্রে ঘোষিত ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ও ভিত্তিমূল্য ৯ শতাংশের ব্যবধান দাঁড়ায় ২৬। এর ১০ শতাংশ দাঁড়ায় ২.৬০। এর সঙ্গে ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্য যোগ করা হলে দাঁড়ায় ১১.৬০ শতাংশ। এটা হলো সুকুকধারীদের এক বছরের সর্বমোট রিটার্ন। ফলে ষান্মাসিক ভিত্তিতে সুকুকধারীরা এর অর্ধেক অর্থাৎ ৫.৮০ শতাংশ হারে রিটার্ন পাবেন।

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে