ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে মন্দিরে প্রবেশের আগে ঘন্টা বাজানো হয়

২০২৩ ডিসেম্বর ০৯ ১৮:০৫:১২
যে কারণে মন্দিরে প্রবেশের আগে ঘন্টা বাজানো হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রায় প্রতিটি দেশেই রয়েছে নানা সংস্কৃতির মিলন। প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার মন্দির রয়েছে ভারতবর্ষে। প্রতিটি মন্দিরে ঢুকতে গেলেই নজরে আসবে ঘণ্টা আর সেই ঘণ্টা বাজিয়েই প্রবেশ করতে হয় মন্দিরে। এরপরেই ভগবানের পূজা ও দর্শন শুরু হয় হয়। হিন্দু ধর্মে মন্দিরের বাইরে ঘন্টা বাঁধার প্রথা বহু শতাব্দী প্রাচীন।

আপনি কি জানেন মন্দিরের প্রবেশের আগে ঘন্টা বাজানো হয় কেন? এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। সকাল-সন্ধ্যা মন্দিরে যখন পূজা ও আরতি হয় তখন বিশেষ তালে ও সুরে ঘন্টা বাজানো হয়। বিশ্বাস করা হয় যে ঘন্টা বাজানোর ফলে মন্দিরে, দেব বা দেবীর মূর্তির মধ্যে চেতনা জাগ্রত হয়।

পুরাণে বলা হয়েছে, মন্দিরে ঘন্টা বাজালে মানুষের বহু জন্মের পাপ বিনাশ হয়। কথিত আছে, যে সৃষ্টির সূচনাকালে যে নাদ (শব্দ) প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, ঘন্টা বাজালে একই রকম ধ্বনিত হয়। পৃথিবী যখন ধ্বংসলীলায় মেতে উঠবে, সেইসময়ও বায়ুমন্ডলে ঘন্টা বাজানোর মতো শব্দ শোনা যাবে। মন্দিরে ঘন্টা বসানোর পেছনে শুধু ধর্মীয় নয়, রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও।

বিজ্ঞানীদের মতে, মন্দিরে যেসব ঘণ্টা লাগানো থাকে তা ধাতু দিয়ে তৈরি হয় না। তাতে থাকে ক্যাডিয়াম, সিসা, তামা, দস্তা, নিকেল, ক্রোমিয়াম ও ম্যানগিনিসের মতো ধাতু। সব ধাতু মিশ্রণে তৈরি ঘণ্টার আওয়াজে এক ধরণের ধরণের সাউন্ড থেরাপি।

ঘণ্টা বাজলে বায়ুমণ্ডলের মধ্যে একপ্রকার কম্পন তৈরী হয়। মনে করা হয় এই কম্পনের আওতায় আসা বিভিন্ন জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরিবেশকে বিশুদ্ধ করে তোলে এবং সাথে সাথে আশেপাশের নেতিবাচক শক্তিগুলিকেও দূরে সরিয়ে দেয়।

কথিত আছে যে স্থানে নিয়মিত ঘন্টা বাজানো হয় সেই স্থানের পরিবেশ সর্বদা পবিত্র ও ও থাকে এবং এটি মানুষের জন্য দরজা খুলে দেয়।। ঘণ্টার আওয়াজ ৭ থেকে ৮ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এই আওয়াজে মন শান্ত হয় এবং মনের বিভিন্ন চিন্তা দূর হয় বলেও জানা যায় যায়।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে