ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক হাজার টাকার শেয়ার ৩৭ দিনেই অর্ধেকে!

২০২২ ডিসেম্বর ২৩ ১৫:৩৭:১৫
এক হাজার টাকার শেয়ার ৩৭ দিনেই অর্ধেকে!

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর ২৭ অক্টোবর ছিল ৯৭৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৩৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর নেমেছে ৫২৮ টাকা ৩০ পয়সায়। এ সময়ে দর কমেছে ৪৪৫ টাকা ৬০ পয়সা বা ৪৫.৭৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও স্টকনাও সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৮ জুলাই শেয়ারটির ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয় ১০৭ টাকা ১০ পয়সায়। তারপর শেয়ারটির দর টানা বাড়তে থাকে। ২৭ অক্টোবর শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৯৭৩ টাকা ৯০ পয়সায়। এদিন শেয়ারটি এক হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়।

এরপর ফের শেয়ারটির দরে দেখা দেয় টানা পতন। ৩৭ কার্যদিবসের মাথায় ৫২৮ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে যায়। অর্থাৎ ১ হাজার টাকায় শেয়ারটির দর উঠেছিল প্রায় সাড়ে ৪ মাসে। কিন্তু প্রায় অর্ধেকে নেমেছে মাত্র ৩৭ কার্যদিবসে।

গত এক মাসের শেয়ারটির দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৫ কার্যদিবসে একদিন ছাড়া বাকি ১৪ দিনই ডানে অথবা বামে হল্টেড হয়েছে শেয়ারটি। গত ১৩ নভেম্বর ২০২২ শেয়ারটির দর ছিল ৯৫৯ টাকা ২০ পয়সা। তারপর থেকে টানা দরপতন। প্রায় প্রতিদিনই ক্রেতাশূন্য। ৩০ নভেম্বর শেয়ারটির দর ৪৮৫ টাকা ১০ পয়সায় নেমে আসে। অর্থাৎ ১৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ৪৭৪ টাকা ১০ পয়সা বা ৪৯.৪২ শতাংশ কমে যায়।

তারপর ০১ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারটির দর ফের ঊর্ধ্বমুখি হয়। টানা বিক্রেতাশুন্য। ৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ১৩ ডিসেম্বর বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪১ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ ৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ৩৫৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭৩.৪৬ শতাংশ দর বৃদ্ধি পায়।

তারপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে ফের টানা বামে হল্টেড বা ক্রেতাশূন্য। সর্বশেষ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ৬ কার্যদিবসই ক্রেতাশুন্য শেয়ারটি ছিল। লেনদেনের শুরুতেই লাখের বেশি শেয়ারের বিক্রেতা হাজির। দিনভরই ক্রেতাশুন্য অবস্থায় লেনদেন। নামে মাত্র লেনদেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শেয়ারটি৫২৮ টাকা ৩০ পয়সায় ক্রেতাশুন্য থেকেছে। এদিন লেনদেন হয়েছে ৫১ হাজার ৪৫৫টি। যেখানে কোম্পানিটির লাখ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। একদিনে কোম্পানিটির ১৮ লাখের বেশি শেয়ার লেনদেনও হয়েছে।

১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থ বছর শেষে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ।

চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৭২ পয়সা। বোনাস ডিভিডেন্ড সমন্বয় হওয়ায় প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে।

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে