ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই অবধারিত

২০২২ ডিসেম্বর ২১ ১৭:১০:৪৭
শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই অবধারিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা পতনে দেশের শেয়ারবাজারে এখন নাজেহাল অবস্থা। গত ছয় কার্যদিবস যাবত চলছে টানা পতন। শেয়ারবাজারের এই পতন বিছিন্ন কোন ঘটনা নয়। এই পতন অনেকটা অবধারিত। এই বাজারের গতিশীলতা আনতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পেশাদারী আচরণ ছাড়া, অন্য কোন অপশন নাই বলে মনে করেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন।

আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে সাড়ে ২৭ পয়েন্ট। বাজারের এমন পতনকে কেন্দ্র করে তিনি নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিনর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো: আমি আমার ছাত্র ছাত্রীকে একটা কথা বলি,ক্লাসের শুরুতে, কিছুদিন পর তোমাদের মিড টার্ম পরীক্ষা, তার কিছুদিন পর ফাইনাল পরীক্ষা, এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়,এটাই নিয়ম। তাই সারাবছর কম বেশি পড়ালেখা কর, যেন খুব খারাপ অবস্থা না হয়। আমাদের পুঁজিবাজরের আজকের অবস্থাও কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়,অনেকটাই অবধারিত ছিল, এমন অবস্থার।

স্ট্যাটাসে অধ্যাপক আল আমিন বলেন, বাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের অতি মুনাফার আশায়, বড় বড় মার্কেট মেকারের সাথে একজোট হয়ে শেয়ারের রেট করেছে, কেউ কেউ পেরেছে ডিস্ট্রিবিউট করতে, কেউ কেউ নিজেদের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে বসে আছে। কিন্তু এমন হবার কোন দরকার ছিল? চারদিকে যেসব শেয়ারের নাম শোনা যায়, সেইসব শেয়ারে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে, আবার যখন কারেকশন শুরু হয়, সবাই নানা জনকে দোষারোপ করলেও পুঁজি নিজেকেই হারাতে হয়।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, নানা চাপে অনেকসময় ইচ্ছার বাইরে অনেক প্রতিষ্ঠান শেয়ার কিনতে বাধ্য হয়, তারপর আবার বসে থাকতে হয়। ব্যাংক এক্সপোজার হিসাব করার সময় ক্রয় মূল্যকে বিবেচনা করা হয়েছিল, যাদের বিনিয়োগ নাই, তারা যেন বিনিয়োগে আসে,কিন্তু কয়জন এসেছে? কেউ কেউ বলে, বড় বিনিয়োগকারী আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি করেছে,আমরা কেন উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা হব? আবার অনেকে বলেন, এই বাজার বিনিয়োগযোগ্য না, ভাল শেয়ার নেই। বিষয় যাই হোক যেসব বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে ছিল, শেয়ার দাম কমে যাওয়াতে, তাদের লিমিট কমে গেছে, যেহেতু কষ্ট প্রাইস অনেক বেশি। কিন্তু বাজার মূল্য কম।

স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলি পারেনি, কারসাজি চক্রের বিকল্প শক্তি হয়ে,বাজারকে ভাল ডিরেকশনে নিতে,বরং সহায়ক হয়ে নিজেরাও বসে আছে, কেউ তাদের উদ্ধার করবে কি না সেই আশায়। আর যাদের ফান্ড আছে,তারা তামাশা দেখছে, দেখি ফ্লোর উঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা হয় কি না। অবস্থাটা এমন হবে, এটাই ছিল বাস্তবতা,যেমনটা কোন ছাত্র ছাত্রী না পড়ে এক্সাম হলে গেলে যেমন হয়,ঠিক তাই। এই বাজারের গতিশীলতা আনতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পেশাদারী আচরণ ছাড়া,অন্য কোন অপশন নাই। এটা সম্পূর্ন আমার ব্যক্তিগত মতামত।

আলম/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে