২০২৪ মে ০১ ০৭:০৬:০৯

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে মূলধন লাভের ওপর কোনো কর আরোপ করা হবে না।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিএসইসি চেয়ারম্যানের পুনর্নিযুক্তিতে পুঁজিবাজার সাংবাদিক ফোরামের (সিএমজেএফ) শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিএমএজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া, সেক্রেটারি আবু আলীসহ সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর বাংলাদেশকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি হল মূলধন লাভের উপর কর আরোপ। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা মূলধন লাভের উপর কর আরোপ করবে না।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, বিএসইসিতে দুই দফায় ৮ বছরের বেশি নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। আমি ইতিমধ্যে ২ বার নিয়োগ পেয়েছি। ৩য় অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই হারানোর কিছু নেই। এখন শুধু শেয়ার বাজারের জন্য ভালো কিছু করতে চাই।

তিনি বলেন, গত ৪ বছরে শেয়ারবাজার সম্পর্কে অনেক কিছু চিনতে ও বুঝতে শিখেছি। বুঝুন কে বন্ধু আর কে শত্রু। সেই আলোকে আগামীতে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেব।

বিএসইসির কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক শিবলী বলেন, আমার পরিবারের কেউ শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িত নয়। এখানে কেউ বলতে পারবে না 1 টাকা ঘুষ নয়। সম্ভব হলে১ জনকে সামনে এনে প্রমাণ করুন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরের পরও অনেকেই তার নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন। এ কারণে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সময় লেগেছে। অনেক উচ্চপর্যায়ের মানুষও এ বিষয়ে কাজ করেছেন।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কারণে তা টেকেনি। তিনি বলেন, যারা বেশি বিরোধিতা করেছে, তারা প্রথমে এসে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানায়।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, সূচক বাড়া বা কমানো দেখা বিএসইসির কাজ নয়। আর কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনা বিএসইসির কাজ নয়। কিন্তু শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এ দুটি কাজ করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছি। এখন থেকে আইপিও এবং সূচকের উন্নয়ন স্টক এক্সচেঞ্জগুলি পর্যবেক্ষণ করবে। আমি আজ স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

বিএসইসির এই চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ৪ বছরে আমার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া। তিনি বলেন, বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানেও যেতে হবে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কাজ করতে হবে। তাহলে জনগণের ওপর থেকে করের বোঝা কমবে।

আওয়াল/