ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় নেতানিয়াহু, জরুরি বৈঠক

২০২৪ এপ্রিল ১৯ ২৩:০২:৪৬
আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় নেতানিয়াহু, জরুরি বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামরিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

এই শঙ্কায় মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিন মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন আইনবিশেষজ্ঞকে জরুরি ভিত্তিতে ডাকা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি টেলিভিশনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠকে সম্ভাব্য ওয়ারেন্ট ঠেকানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের পরোয়ানা জারি করা হতে পারে এমন কথা পাওয়ার পর বৈঠক ডাকা হয়েছিল, কোনো সূত্রের বরাত না দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের কার্যালয় থেকে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েলকে এই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আইডিএফ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে—এমন আশঙ্কা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং তাঁদের সহায়তা চান।

টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাটজ, বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন দারমার মঙ্গলবারের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আদালত ও প্রভাবশালী কূটনীতিকদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইসরায়েল আশঙ্কা করছে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে মানবিক সংকটের কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন ও চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা দেশগুলো এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে হামাসের হাতে ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের একটি প্রতিনিধিদল সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করে। হামাসের বিরুদ্ধে অপহরণ, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন এবং অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।

ইসরায়েল নিজেকে আইসিসির কাছে দায়বদ্ধ মনে না করায় আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান গত ডিসেম্বরে সরকারি সফরে ইসরায়েলে যান। সফরে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা চালানো ইসরায়েলের কয়েকটি শহর পরিদর্শন করেন তিনি।

হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে শুনে খান বলেছিলেন যে তিনি "পরিকল্পিত নৃশংসতার দৃশ্য" প্রত্যক্ষ করেছেন এবং এটি স্পষ্ট যে ক্ষতিগ্রস্তদের তাদের পরিচয়ের কারণে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

করিম খান আরও বলেন যে তিনি মনে করেন যে ৭ অক্টোবর হামাসের কার্যক্রমের তদন্ত শুরু করার জন্য আদালতের কৌঁসুলির সাথে কাজ করা তার কর্তব্য।

মাসুদ/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে