ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

ঈদের আগে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন চার হাজার বিনিয়োগকারী

২০২৪ এপ্রিল ১৩ ২১:১৭:৪৭
ঈদের আগে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন চার হাজার বিনিয়োগকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে চলছে টানা মন্দাভাব। তবে ঈদের আগের শেষ দুই কর্মদিবসে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এই দুই কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। বদৌলতে এই বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬৮ পয়েন্ট বেড়েছে।

তারপরও শেয়ারবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট যেন কাটছে না। দাম বাড়লেও বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। লোকসান মেনে তারা প্রায় শুন্য হাতেই ঘরে ফিরছেন।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূ্ত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে ছয় কর্মদিবসে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন চার হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী। এই ছয় দিনে এসব বিনিয়োগকারী তাঁদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে বাজারে সার্বিকভাবে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ শেয়ারবাজারে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার ৬২৯টি। ঈদের ছুটির আগের সর্বশেষ কর্মদিবস ৯ এপ্রিলে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৩টিতে। সেই হিসাবে ১ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় কর্মদিবসে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ১৪। অর্থাৎ এসব হিসাবের সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টানা দরপতনে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা চরমে পৌঁছেছে। এই কারণে আরও লোকসান হতে পারে, এমন ভয়ে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছাড়ছেন।

এ ছাড়া শেয়ারবাজারের চেয়ে এখন ব্যাংকে টাকা জমা রেখে বেশি মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে টাকা খোয়ানোর ঝুঁকিও নেই। তাই অনেকে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে উচ্চ সুদে তা ব্যাংকে রাখছেন। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে।

ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগের দুই দিন বাজার ইতিবাচক ধারায় থাকার পরও ৮৪২টি বিও হিসাবের সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর বিপরীতে দুই দিনে খোলা হয়েছে ৩৫৩টি বিও হিসাব। অর্থাৎ যে হারে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়েছেন, সে তুলনায় নতুন বিনিয়োগকারী এসেছেন কম।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে বাজার টানা কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকলে তাতে হয়তো কিছু বিনিয়োগকারী বাজারমুখী হতে পারেন। তবে বিনিয়োগ করে কারও অর্থ যেন বড় ধরনের ঝুঁকিতে না পড়ে, সে জন্য কারসাজির ঘটনা বন্ধসহ বাজারকে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। বিনিয়োগকারীদেরও বুঝেশুনে শেয়ার কেনাবেচা করতে হবে।

সিডিবিএলের হিসাবে, শেয়ারবাজারে এখন সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৩। এর মধ্যে শেয়ার আছে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫টি হিসাবে। বাকি বিও হিসাবগুলো কাগজে-কলমে সক্রিয় দেখালেও বাস্তবে কোনো শেয়ার নেই।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে