ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : মির্জা ফখরুল

২০২২ ডিসেম্বর ০৩ ১৮:৫২:৪২
তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : মির্জা ফখরুল

তিনি বলেন, আমরা তো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা চায়না। তাদের লক্ষ্য যেমন করে পারো বন্দুক-পিস্তল দিয়ে ক্ষমতায় থাকো। আমরা তো তাদের চাকর নই। এই দেশের মালিক জনগণ।

শনিবার বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে স্বাধীন স্বাধীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতীয় সরকার গঠিত হবে। যে সরকার নতুন স্বপ্ন দেখায়।

বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন আমাদের জেগে উঠতে হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে এবং নিহত সহযোদ্ধাদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে। দরবার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।

বিএনপির রাজশাহী মহানগরীর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে ও মামুনুর রশিদ ও শ্রী বিশ^নাথ সরকারের পরিচালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনু, মোঃ শাহজাহান মিয়া, আব্দুল মান্নান তালুকদার, হাবিবুর রহমান হাবিব, কর্নেল এম এ লতিফ খান, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শাহিন শওকত, ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নাদিম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, আবু সাঈদ চাঁদ, তোফাজ্জল হোসেন তপু, আবু বকর সিদ্দিক, ফজলুর রহমান খোকন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আতিকুর রহমান রুমন, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, শ্রমিকদলের আনোয়ার হোসাইন, কাজী মোঃ আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, নওগাঁ জেলার আবু বকর সিদ্দিক নান্নু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলন সংগ্রামে ছয় শতাধিক নেতা-কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এতদিন পর সরকার বিরোধী দলকে শাস্তি দিয়ে ধ্বংস করতে চায়। তবে বিরোধী দল আরও উদ্ভাবনী হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা লুট করে পাহাড় বানাচ্ছে আর সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। কদিন আগেই পাবনার কয়েকজন কৃষককে জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ ক্ষমতাসীনরা ব্যাংক লুট করে দিচ্ছে। খাজাঞ্চিখানা শুন্য করে দিচ্ছে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। ইসলামী ব্যাংকের টাকা নামে বেনামে ঋণের নামে লুট করছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে তারা ১৭৩ দিন ধর্মঘট করেছে। গান পাউডার জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়। তত্ত্বাবধায়কের অধীনে পাঁচবার নির্বাচন হয়েছে, কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই ব্যবস্থা বাতিল করে।

ঢাকার সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার সমাবেশ নিয়ে সরকার ভীত। আমরা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তাদের ঘুম ভেঙে গেছে। তারা সন্ত্রাসে ভুগছে। আমরা নয়া পল্টনে অনেক সভা করেছি যেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। এখন তারা জঙ্গি নাটক শুরু করেছে।

রহমান/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর