হজে গেলেন প্রতারিত সেই ৫৩৮ হজযাত্রী

এতে হজযাত্রীদের এ প্যাকেজের প্রতি জনকে দিতে হয়েছে ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং বি-প্যাকেজের প্রতিজনকে দিতে হয়েছে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।

এর আগে এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক শাহ আলম ৫৩৮ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তাদের হজে যাওয়া। পরে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) উদ্যোগে তারা হজে যেতে পারলেও প্রতিজনকে বাড়তি ২ লাখ টাকা করে দিতে হয়েছে।

জানা যায়, এসএন ট্রাভেলসের অধীনে এ ও বি প্যাকেজে ৫৩৮ জন হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। তাদের এ প্যাকেজের ২০৮ জনের প্রতিজনের কাছ থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার ২৭০ নেওয়া হয়।

বি-প্যাকেজের ৩৩০ জনের প্রতিজনের কাছ থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে ২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে এ প্যাকেজের ৭৫ জনের ভিসা হয় এবং ৯০ জনের ভিসা না করে শুধু টিকিট কনফার্ম করা হয়। এর পর থেকে এজেন্সির মালিক শাহ আলম লাপাত্তা।

এমতাবস্থায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তাদের হজে যাওয়া। তারা জুরাইন অফিসে বিক্ষোভ করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার হলে বিষয়টি হাবের নজরে পড়ে। পরে এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের পরিচালক ইসলাম উদ্দিন ও ম্যানেজার ফরিদ এ প্যাকেজের হজযাত্রীদের কাছ থেকে ২ লাখ ৩ হাজার এবং বি প্যাকেজের যাত্রীদের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করেন। উপায়ন্তর না পেয়ে বাড়তি টাকা দিয়েই তাদের হজে যেতে হয়েছে।

এসএন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের পরিচালক ইসলাম উদ্দিন ও ম্যানেজার ফরিদ গণমাধ্যমকে বলেন, হাবের সহযোগিতায় এবং হজ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে তিন ধাপে সবাইকে হজে পাঠানো হয়।

মার্কেট আওয়ার/ তারিকুল