ঢাকা, বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

RSI অনুযায়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে বিমার ১৪ শেয়ার

২০২৩ মে ২৭ ১৪:৩৭:০৯
RSI অনুযায়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে বিমার ১৪ শেয়ার

মার্কেট আওয়ার ডেস্ক : বিদায়ী সপ্তাহে (২১ মে-২৫ মে) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি বিমা খাতের শেয়ার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে উঠে এসেছে। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস RSI-এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স অ্যানালাইসিস পোর্টাল এ তথ্যজানিয়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো- অগ্রনী ইন্সুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, ডেল্টা লাইফ, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স, গ্রীণডেল্টা ইন্সুরেন্স, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স, আইসিআইসি ইন্সুরেন্স, জনতা ইন্সুরেন্স, পিপলস ইন্সুরেন্স, প্রোগ্রেসিভ লাইফ, পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স, রূপালী লাইফ, সন্ধানী লাইফ, সোনালী লাইফ ও ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোরনাম, সর্বশেষদরএবংসর্বশেষRSI অবস্থাননিচেদেয়াহল:

ক্রমিক

কোম্পানির নাম

সর্বশেষ দর

RSI

অগ্রনী ইন্সুরেন্স

৪৮.১০

৮৯.০৬

ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স

৫১.৯০

৮০.৯১

দেশ ইন্সুরেন্স

৩৭.৯০

৮৪.৩০

এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স

৩১

৮০.৪৭

গ্রীণডেল্টা ইন্সুরেন্স

৬৯.৬০

৮৫.২২

আইসিআইসি ইন্সুরেন্স

৪২.৯০

৮৫.১৩

ইসলামী ইন্সুরেন্স

৫৪.৫০

৯৪.২৮

পিপলস ইন্সুরেন্স

৩৬.৮০

৮১.৭৬

প্রোগ্রেসিভ লাইফ

৮৫.৩০

৮৩.৫২

১০

পূরবী ইন্সুরেন্স

৩১.৩০

৮৯.০৮

১১

রূপালী লাইফ

১৬৫.৩০

৮৮.৯০

১২

সন্ধানী লাইফ

৩০.৬০

৮০.৮৬

১৩

সোনালী লাইফ

৮৫.৪০

৮৪.৬০

১৪

ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স

৫৮.২০

৮০.৮৭

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস কী?

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ উপযোগী শেয়ার কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন নির্দেশক (Indicator) ব্যবহার করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাকনিক্যাল ইনডিকেটর (Technical Indicator) ও ফান্ডমেন্টাল ইনডিকেটর (Fundamental Indecator)। টেকনিক্যাল ইনডিকেটরের মধ্যে Relative Strength index অথবা(RSI)। RSI ইনডিকেটর হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস।

RSI-এর মাধ্যমে সহজেই বিনিয়োগ উপযোগী শেয়ার খুঁজে বের করা যায়। ঠিক তেমনি RSI-এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারও সনাক্ত করা যায়।

RSI ইন্ডিকেটরটি বাজারের overbought ও oversold অবস্থান নির্দেশ করে। এর স্কেলমান শুন্য হতে ১০০ পর্যন্ত হয়। সাধারণত ২০ এর নিচের শেয়ার oversold এবং ৮০ এর উপরে শেয়ার overbought নির্দেশ করে। সাধারণত oversold অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার buy (কেনা) এবং overbought অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের sell pressure (বিক্রির চাপ) নির্দেশ করে থাকে।

তবে অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও হয়। যদি কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য থাকে, সেক্ষেত্রে RSI কার্যকর হয় না। মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের ভিত্তিতে নিজস্ব গতিতে শেয়ার দর উঠা-নামা করে।

আবার যদি কোন শেয়ারের পেছনে বড় হাত থাকে বা স্মার্ট মানি থাকে, সেক্ষেত্রেও RSI সাধারণত অকার্যকর হয়।

তবে সাধারণ নিয়মে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর যদি RSI-এর নিচের পর্যায়ে থাকে বা oversold অবস্থায় থাকে, তাহলে সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করা হয়।

আবার যেসব কোম্পানির শেয়ার দর RSI-এর উচ্চ পর্যায়ে থাকে বা overbought অবস্থায় থাকে, সেসব কোম্পানিতে আপাতত বিনিয়োগ না করে ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ পলিসি অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে করে পুঁজি নিরাপদ থাকে।

তবে শেয়ার দর যখন বাড়তে বা কমতে থাকে RSI ইনডিকেটরের সঙ্গে দরের সামঞ্জস্যতা পরিবর্তন হয়। তখন দেখা যায় overbought অবস্থায় RSI শেয়ারটির জন্য নতুন space তৈরি করে দেয়।

উল্লেখ্য, RSI ইনডিকেটর অনুযায়ি শেয়ার কেনা-বেচা করতে হবে, এমন কোন স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম বা বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে RSI ইনিডিকেটর অনুসরণ করলে পুঁজির সমূহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

মার্কেট আওয়ার/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে