ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন পদ্ধতি, চালু হচ্ছে টিভিএম মেশিন

২০২৪ এপ্রিল ২২ ২১:৩১:৪৫
ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন পদ্ধতি, চালু হচ্ছে টিভিএম মেশিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের পাশে টাচ স্ক্রিনের একটি মেশিন। ওই স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে প্রারম্ভিক স্টেশন, যাত্রার তারিখ ও গন্তব্য স্টেশনের নাম লেখার ঘর। তারিখ ও গন্তব্যের ঘর পূরণ করে ‘সার্চ ট্রেন’ অপশনে ক্লিক করলেই দেখা মিলবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের ট্রেনগুলোর নাম এবং আসন সংখ্যা। সেখানে ওয়েবসাইটের মতো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করলে বের হয়ে আসবে কাঙ্ক্ষিত টিকিট।

এই মেশিন কেবল কমলাপুর স্টেশনে নয়, আরও কয়েকটি স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে। এই মেশিনে নগদ টাকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) স্থাপন করা হয়েছে দেশের বড় কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশনে। এর মাধ্য ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে।

রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে, কমলাপুর স্টেশনে চারটি, বিমানবন্দর স্টেশনে দুটি, চট্টগ্রাম স্টেশনে দুটি, সিলেট স্টেশনে একটি, কক্সবাজার স্টেশনে একটি, রাজশাহী স্টেশনে দুটি, খুলনা স্টেশনে একটি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনে একটি ও রংপুর স্টেশনে একটি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও মেশিন বসানো হবে।

স্টেশনের কাউন্টার, ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন সংযোজন টিভিএম। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মতোই একজন যাত্রী তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যানস ফোরাম গ্রুপে টিভিএমের একটি ছবি পোস্ট করে জুনায়েদ হোসাইন প্রবল নামের একজন লিখেছেন, ‘এই মেশিনের উপকার কী, কেউ যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন। এই মেশিনে যদি টিকিট ক্রয় করতে আমাকে অতিরিক্ত ২০ টাকা চার্জই দেওয়া লাগে, তাহলে বাসায় বসেই তো আমরা টিকেট ক্রয় করতে পারি। স্টেশন কেন যাব?’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আর যদি স্টেশনেই যেতে হয়। তাহলে এই মেশিনে টিকিট ক্রয় করব কেন? ২০ টাকা কমে তো আমরা পাশে থাকা কাউন্টার থেকেই টিকিট ক্রয় করতে পারি। আমি মনে করি, এই মেশিনের সুবিধা জনগণ পেত, যদি এই মেশিন দ্বারা টিকিট ক্রয় করতে অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া না লাগত। এই উদ্যোগ লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না।’

ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আব্দুল্লাহ নোমান নামের একজন লিখেছেন, ‘টাকা দেওয়ার অপশন থাকবে এবং টিকিট নেবে। তাহলে সিস্টেমটা উপকারে আসবে।’

বিশ্বজিৎ ভৌমিক নামের একজন লিখেছেন, ‘এই মেশিন দিয়ে কমিউটার, মেইল ও লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটতে পারলে সেটাই হবে প্রকৃত কাজ। নতুবা শুধু প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ বৈ কিছু হবে না।’

স্টেশনে রেলওয়ের টিভিএম স্থাপন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যে লক্ষ্য সামনে নিয়ে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটা ইতিবাচক। তবে বর্তমান সিস্টেমকে মডিফিকেশন বা ইমপ্রুভ করার দরকার আছে। টিভিএম পৃথিবীর কোথাও শুধু অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে হয় না। টিভিএম থাকলে সেখানে অবশ্যই নগদ টাকা প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু এখানে নগদ টাকা প্রবেশ করানোর কোনো সুযোগ নেই। এভাবে রাখলে যে লক্ষ্য সামনে রেখে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি অর্জন করা যাবে না।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে