ঢাকা, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে আ.লীগের বিশাল জয়

২০২৩ জুন ২১ ২২:৩২:১৫
রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে আ.লীগের বিশাল জয়

বুধবার (২১ জুন) রাতে ভোট গণনা শেষে দুই সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাজশাহী সিটি মেয়র

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এর মাধ্যমে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাজশাহী সিটির মেয়র হলেন তিনি।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট।

নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকা এবং সর্বশেষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোট বর্জন করার পাশাপাশি বৃষ্টির বাগড়ায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে ভোট শুরুর এক-দুই ঘণ্টা পরেই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়েছেন তিনজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বয়কট করেন।

রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন নারী ভোটার। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছয়জন।

এ ছাড়া ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সিলেট সিটি মেয়র

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে ৫১ হাজার ২০০ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি।

২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদরউদ্দিন কামরান ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।

এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম (বাবুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান (বর্জন করেছেন), জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, শাহ জাহান মিয়া, ছালাহ উদ্দিন ও আবদুল হানিফ।

মার্কেট আওয়ার/মোর্শেদ

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর