ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৮০ শতাংশ ব্লু-চিপের দর অপরিবর্তিত

২০২৩ জানুয়ারি ১০ ১৯:১৫:৫৩
৮০ শতাংশ ব্লু-চিপের দর অপরিবর্তিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারের সূচক পর্যালোচনা করলে বাজারের সার্বিক অবস্থা বোঝা যায়। শেয়ারবাজারের সূচক দেখে আমরা বুঝতে পারি বাজার পূর্বের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে নাকি খারাপ অবস্থানে আছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বর্তমানে ৩টি সূচক গণনা করে। এগুলো হলো ডিএসই প্রধান সূচক বা ডিএসইএক্স, ডিএসই শরীয়াহ সূচক এবং ডিএস-৩০ সূচক।

ডিএস-৩০ সূচক টি বাজারের ৩০ টি গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত। এই সকল শেয়ারকে ব্লু-চিপ শেয়ারও বলা হয়। ডিএস-৩০ সূচক তৈরিতে যেসব মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়েছে সেগুলো হলঃ

১. শেয়ারটির বাজার মূলধন অবশ্যই ৫০ কোটির উপরে হতে হবে।

২. শেয়ারটি অবশ্যই গত তিনমাসের দৈনিক লেনদেনের গড় হতে হবে ৫০ লাখ টাকা।

৩. শেয়ারটির অবশ্যই গত ১২ মাসে পজিটিভ নেট ইনকাম থাকতে হবে।

ডিএস-৩০ সূচকে অবস্থান করা কোম্পানিগুলোর আজকের বাজার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মাত্র ৬টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। বাকি ২৪টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে অর্থাৎ ৮০ শতাংশ ব্লু-চিপের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএস-৩০ সূচকে অবস্থান ২৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ফরচুন সুজের মাত্র ১৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রবি আজিয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৮০টি শেয়ার, সিঙ্গার বিডি লেনদেন হয়েছে ৬০টি শেয়ার। এভাবে কোনো কোনোটির ১০০টি বা ২০০টি বা ১০০০টি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে। কোনো কোনো দিন লেনদেন শূন্য অবস্থায় পড়ে থাকে।

ডিএস-৩০ সূচক অবস্থান করা শেয়ারকে আবার ব্লু-চিপ শেয়ার নামে অভিহিত করা হয়। এভাবে দিনের পর দিন লেনদেনহীন অবস্থায় পড়ে থাকলে এগুলোর আর ব্লু-চিপ হিসেবে থাকবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। ব্লু-চিপে থাকতে হলে শেয়ারটি অবশ্যই গত তিনমাসের দৈনিক লেনদেনের গড় ৫০ লাখ টাকা হতে হবে। আজকের লেনদেন ৪৫০ কোটির ঘর ছাড়ালেও ব্লু-চিপের এমন করুণ লেনদেন হতে থাকলে শেয়ারবাজারে ব্লু-চিপ বলতে কিছু থাকবে না।

হাবিব/

পাঠকের মতামত:

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ প্রতিবেদন - এর সব খবর



রে